Table Of Contents
ভারতের রাজ্য গঠন:
- সংবিধানের ২ নং থেকে ৪ নং ধারায় ভারতীয় অঙ্গরাজ্য গঠন ও পুনঃগঠনের বিষয় আলোচনা করা হয়েছে।
- সংবিধানের ৩ নং ধারা অনুযায়ী আইন প্রণয়ন করে নতুন রাজ্য গঠন কিংবা পুনঃগঠন এর ক্ষমতা সংবিধান প্রদান করেছে পার্লামেন্টের হাতে।
- কেবল মাত্র জম্মু ও কাশ্মীরের ক্ষেত্রে সংবিধানের ৩৭০ নং ধারা মোতাবেক ওই রাজ্যের মতামত ছাড়া রাজ্যের নাম, আয়তন, সীমানা পরিবর্তনজনিত কোনো বিল পার্লামেন্টে পাস করা যায় না।
ভারতের রাজ্য গঠন ও পুনঃগঠন সম্পর্কিত সাংবিধানিক বিধিব্যবস্থা :
- অঙ্গরাজ্যের আয়তন, সীমানা ও নাম না পরিবর্তন এবং নতুন অঙ্গরাজ্য গঠন সম্পর্কিত আইনটি প্রণয়নের প্রস্তাবটি, রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে সংসদের উভয় কক্ষের যে কোনো একটিতে উত্থাপিত হতে পারে।
- এক বা একাধিক অঙ্গরাজ্যের নাম ও সীমানা পরিবর্তন সম্পর্কিত কোনো আইনের প্রস্তাব সংসদের উত্থাপিত হওয়ার পূর্বে যখন রাষ্ট্রপতির অনুমোদনলাভের উদ্দেশ্য প্রেরিত হয় তখন রাষ্ট্রপতি উক্ত প্রস্তাব সম্পর্কে সংশ্লিট বিধানসভার কাছে তাদের মতামত জানানোর সুযোগদানের উদ্দেশ্য একটি নির্দেশিকা প্রেরণ করেন যেখানে মতামত জানানোর ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার উল্লেখ থাকে। সংশ্লিষ্ট বিধানসভা যদি তাদের মতামত জানাতে চায় তাহলে উক্ত সময়সীমার মধ্যে তাদের মতামত জানাতে পারে। সংশ্লিষ্ট বিধানসভার অনুরোধে অথবা স্বেচ্ছায় রাষ্ট্রপতি মতামত জানানোর সময়সীমা বৃদ্ধি করতে পারেন।
- অন্য যে কোনও সাধারণ আইনের মতো অঙ্গরাজ্যের নাম / সীমানা / আয়তন পরিবর্তন সংকান্ত আইনটি সংসদের উভয়কক্ষে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাশ হয়।
- অঙ্গরাজ্যের নাম /সীমানা /আয়তন পরিবর্তন সংক্রান্ত আইনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিধানসভাকে তাদের মতামত জানানোর সুযোগপ্রদান যেমন আবশ্যক, কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিধানসভাকে মতামত জানানোর সুযোগ প্রদান বাধ্যতামূলক নয়।
ভারতের রাজ্য গঠন ও পুনঃগঠন সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর:
১. নিম্নলিখিত মধ্যে কোনটি ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল নয় ?
a. আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ
b. পন্ডিচেরি
c. চন্ডিগড়
d. ত্রিপুরা
Ans: d
২. কোন রাজ্য ভেঙে ” ছত্রিশগড় ” রাজ্যটি গঠিত হয়েছে ?
a. মহারাষ্ট্র
b. উত্তরপ্রদেশ
c. মধ্যপ্রদেশ
d. বিহা
Ans: c
৩. কত সালে ছত্তিসগড় রাজ্য গঠন হয় ?
a. ২০০১ সালের ১লা নভেম্বর
b. ১৯৯৯ সালের ১লা নভেম্বর
c. ২০০০ সালের ১লা নভেম্বর
d. ২০০২ সালের ১লা নভেম্বর
Ans: c
৪. কত সালে সিকিম ভারতের অঙ্গীভূত হয়?
a. ১৯৭৫
b. ১৯৭৮
c. ১৯৮২
d. ১৯৯০
Ans: a
৫. রাজ্য পুনর্গঠন কমিশনের সুপারিশ পশ্চিমবঙ্গে কবে রূপায়িত হয়?
a. ১৯৫৪
b. ১৯৫৫
c. ১৯৫৬
d. ১৯৫৭
Ans: c
৬. কত তম সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে সিকিম কে ভারতের একটি অঙ্গরাজ্যের মর্যাদা লাভ করে ?
a. ৩৫ তম
b. ৩৬ তম
c. ২৩ তম
d. ৩৯ তম
Ans: b
৭. কত খিষ্টাব্দে সিকিম ভারতের ২২তম অঙ্গরাজ্যের মৰ্যাদা লাভ করে ?
a. ১৯৬৫
b. ১৯৭০
c. ১৯৭৩
d. ১৯৭৫
Ans: d
৮ . দীর্য আন্দোলনের পর ভাষার ভিত্তিতে সৃষ্ট প্রথম ভাড়াটিয়া রাজ্য কোনটি?
a. অন্ধ্রপ্রদেশ
b. অসম
c. তামিলনাড়ু
d. কর্ণাটক
Ans: a
৯. ভারতের ২৮ তম অঙ্গরাজ্য কোনটি ?
a. ঝাড়খন্ড
b. ছত্তিসগড়
c. উত্তরাখন্ড
d. গোয়া
Ans: c
১০. স্বাধীন ভারতে ভাষার ভিত্তিতে রাজ্যগুলি পুনর্গঠিত হয় –
a. ১৯৪৭ সালে
b. ১৯৫১ সালে
c. ১৯৫৬ সালে
d. ১৯৬৬ সালে
Ans: c
১১. বর্তমান ভারতে কয়টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আছে ?
a. ২৫ টি রাজ্য ও ৯ টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল আছে
b. ২৪ টি রাজ্য ও ৭ টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল আছে
c. ২৮ টি রাজ্য ও ৭ টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল আছে
d. ২১ টি রাজ্য ও ১১ টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল আছে
Ans: c
১২. ভারতে ভাষার ভিত্তিতে রাজ্য পুনর্গঠনের বিষয়টি পরীক্ষার জন্য ১৯৪৮ সালে প্রথম কমিশন গঠিত হয় ?
a. বিচারপতি ওয়াংচুর নেতৃত্বে
b. বিচারপতি এম সি মহাজনের নেতৃত্বে
c. বিচারপতি এস কে ধরের নেতৃত্বে
d. বিচারপতি পি এন ভগবতীর নেতৃত্বে
Ans: c
১৩. কোনো রাজ্য সৃষ্টি অথবা নাম ও সীমানার পরিবর্তন ভারতীয় সংসদ করতে পারে –
a. দুই-তৃতীয়াশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায়
b. তিন-চতুর্থাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায়
c. চার-পঞ্চমাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায়
d. সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায়
Ans: d
১৪. ভারতীয় সংবিধান অনুসারে নতুন রাজ্য গঠন করা বা বর্তমান রাজ্যগুলির সীমানা পরিবর্তন করার অধিকার হল –
a. রাষ্ট্রপতি
b. সংসদ
c. নির্বাচন কমিশন
d. সুপ্রিম কোর্ট
Ans: b
এই পোস্টটি লেখার জন্য কিছু বই এর সাহায্য নেওয়া হয়েছে। পোস্টটিতে কোনো রকম ভুল থাকলে অথবা আপনার কোনো মতামত থাকলে আমাদের সাথে [email protected] যোগাযোগ করুন।
আশা করি এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট এ জানাবেন এবং সবার সাথে শেয়ার করবেন।